রেললাইনের প্রজেক্টে চুরি: আটক ২

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ২৫ জুন ২০২২, ০০:২৭

ছবি: সময় ট্রিবিউন

খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রজেক্টের চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। দিগরাজ-বিদ্যারবাহন এলাকার নাভানা এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনের পেছনে রেললাইন সংলগ্ন একটি বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে অভিযান চালিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন বিদ্যারবাহন গ্রামের মৃত আজিজ মোল্লার পুত্র জাহাঙ্গীর মোল্লা (৩৫) ও তার সহযোগী রামপাল উপজেলার হুড়কা গ্রামের আঃ সালাম শেখের পুত্র মোঃ মুক্ত শেখ (২২)। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে তাদের বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মোংলা থানায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে মোংলা থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিদ্যারবাহন এলাকায় চলমান রেললাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত ১৫ ধরনের মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি হয়। ওই মালামালের মূল্য ৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৫০ টাকা বলে জানা গেছে। চুরি হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রজেক্টের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুল ইসলাম। এরপর ঐ দিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মামলা নেওয়ার পর মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে মোংলা থানা পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আসিফ ইকবাল।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত কুমার বিশ্বাস, মো. আলাউদ্দিন, মো. বাহারুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জ্যোতির্ময় ফৌজদার ও জসিম উদ্দিন গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে দিগরাজ-বিদ্যারবাহন এলাকার নাভানা এলপিজি গ্যাস ফিলিং স্টেশনের পেছনের রেললাইন সংলগ্ন জাহাঙ্গীর মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা রেলের চুরি করা ৯০ ভাগ মালামাল উদ্ধার করে মোংলা থানা পুলিশ। এরপর জাহাঙ্গীর এবং তাঁর সহযোগী মুক্ত শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাঁরা দুজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেলের ওই মালামাল উদ্ধারসহ জাহাঙ্গীর ও মুক্তকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের তথ্য এবং বাকি মালামালের সন্ধানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান গাজীসহ আরো অনেকে।

২০১৬ সালে খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ১৫ মিলোমিটারের এ রেললাইন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভারতের ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: