সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুনের মামলায় তাঁদের দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এক আদেশে বাবুলের দুই শিশুসন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। শিশু দুটি বর্তমানে দাদা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের বর্তমান স্ত্রী ইশমত জাহানের তত্ত্বাবধানে মাগুরার বাসায় বসবাস করছে।
তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে কথা বলার আদেশ বাতিল চেয়ে একই আদালতে আবেদন করেন বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান। তার আবেদনে বলা হয়, দুই শিশুর সঙ্গে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে কথা বলা হোক। সেখানে জেলা প্রবেশন অফিসারের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হবে। অথবা এ দুজনের উপস্থিতিতে জেলা প্রবেশন অফিসারের কক্ষে শিশুদের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলুক।
আজ আদেশে মহানগর দায়রা জজ বলেন, আবেদনটি (রিভিশন) নামঞ্জুরক্রমে সাক্ষী শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে শিশু আইন ২০১৩–এর ৫৩ ও ৫৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে অনুসরণপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হলো।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। গত বছরের ১২ মে পিবিআই এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর বাদী হয়ে বাবুলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এটি আদালত গ্রহণ করেন। তবে বাবুলের করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: