প্রার্থীকে জয়ী করতে নির্বাচন কর্মকর্তার চুক্তির অডিও ফাঁস, অবশেষে প্রত্যাহার

সময় ট্রিবিউন | ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৯:২৬

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান-ছবি সংগৃহীত

সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রার্থীকে জয়ী করতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের গোপন চুক্তির অডিও ফাঁসের পর নির্বাচন কর্মকর্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

এর আগে নির্বাচনে জয়ী করতে ওই প্রার্থীর সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুরো পরিকল্পনার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার পর আব্দুল হান্নানকে প্রত্যাহার করে কুড়িগ্রাম জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে উপজেলার ১৭টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার চার দিন আগে উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ায় চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লিপের কথোপকথনে শোনা যায়, রফিকুল ইসলাম নামে এক প্রার্থীকে জয়ী করতে ভোটকেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বের করে দেওয়া এবং ভোটের আগেই অন্তত ৩শ’ ব্যালট পেপার সরবরাহের চুক্তি করেছেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা।

এঘটনায় রফিকুল ইসলাম গোপন চুক্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে দুই দফায় নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এতো কথা শোনার সময় নেই আমার। অডিও ক্লিপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কইরেন।’

এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাহাতাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একজন মেম্বার প্রার্থীকে সঙ্গে টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেওয়ার আশ্বাসের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হান্নানকে প্রত্যাহার করে কুড়িগ্রাম জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আর পীরগাছা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকীকে মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: