এবার আর অঘটন ঘটাতে পারলো না আফগানিস্তান। বল হাতে একটা সময় কিউইদের চাপে রেখেছিলেন রশিদ-ফারুকিরা। তবে সেই চাপ সামলে ঠিকই বড় পুঁজি গড়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়ায় ২৮৯ রানের লক্ষ্য। একশর আগে (৯৭ রানে) ৪ আর ১০৭ রানের মধ্যে ৫ হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আফগানরা। সেখান থেকে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি। ৩৪.৪ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় হাসমতউল্লাহর দল।
আফগানিস্তানকে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে নিউজিল্যান্ড। টানা চার ম্যাচ জিতেছে তারা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে রহমত শাহ আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছাড়া আফগান ব্যাটারদের আর কেউ লড়াইও করতে পারেননি। রহমত শাহ ৩৬ আর ওমরজাই করেন ২৭ রান।
নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার আর লুকি ফার্গুসন নেন ৩টি করে উইকেট।
এর আগে তিন হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৮ রানের বড় পুঁজিই দাঁড় করিয়েছিল কিউইরা। চেন্নাইয়ে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান।
উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান তোলেন ডেভন কনওয়ে আর উইল ইয়ং। কওনয়েকে (১৮ বলে ২০) এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান।
এরপর রাচিন রাবিন্দ্র আর উইল ইয়ং মিলে গড়েন ৮৩ বলে ৭৯ রানের জুটি। ২১তম ওভারে জোড়া শিকার করেন আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ওভারের দ্বিতীয় বলে রাচিনকে (৪১ বলে ৩২) বোল্ড আর শেষ বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান ইয়ংকে (৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ওমরজাই।
পরের ওভারে রশিদ খানের আঘাত। ড্যারেল মিচেল (১) মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরানকে। ১ উইকেটে ১০৯ থেকে ৪ উইকেটে ১১০ রানে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড।
সেখান থেকে টম লাথাম আর গ্লেন ফিলিপসের ১৫৩ বলে ১৪৪ রানের লড়াইয়ে ফেরা জুটি। লাথাম-ফিলিপস দুজনই পান হাফসেঞ্চুরি। ফিলিপস ৮০ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৭১ আর লাথাম ৭৪ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেন ৬৮ রান।
শেষদিকে মার্ক চ্যাপম্যান ১২ বলে ২৫ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলে দেন। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলে কিউইরা।
আফগানিস্তানের নাভিন উল হক আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন দুটি করে উইকেট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: