একজন পুরুষ ও বেগানা নারীর মাঝে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেটাকে মানুষ প্রেম নামে অভিহিত করে; সেটা কতগুলো হারাম কাজ এবং শরিয়ত ও চরিত্র পরিপন্থী বিষয়ের সমষ্টি। এ ধরনের সম্পর্ক হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো বিবেকবান ব্যক্তি সন্দেহ করতে পারে না। কারণ এতে রয়েছে- বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনে অবস্থান, বেগানা নারীর দিকে তাকানো, প্রেম ও অনুরাগমূলক কথাবার্তা; যে সব কথা যৌন কামনা ও চাহিদাকে উত্তেজিত করে। এ ধরনের সম্পর্কের ফলে এগুলোর চেয়েও জঘন্য কিছু ঘটতে পারে; যেমনটি বাস্তবে দেখা যায়।
দ্বিতীয়ত, গবেষণায় সাব্যস্ত হয়েছে, যে বিয়েগুলো ছেলেমেয়ের পূর্ব প্রেমের ভিত্তিতে সম্পন্ন হয় সে বিয়েগুলোর অধিকাংশই ব্যর্থ। পক্ষান্তরে, যে বিয়েগুলো এ ধরনের হারাম সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সে বিয়েগুলো সফল; যেগুলোকে মানুষ গতানুগতিক বিয়ে নামে অভিহিত করে।
ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী সৌল-জুর-ডনের মাঠ পর্যায়ের একটি গবেষণার ফলাফল হচ্ছে- যে বিয়ের পাত্র-পাত্রী বিয়ের আগে প্রেমে পড়েনি এমন বিয়ে তুলনামূলকভাবে বড় সফলতা বাস্তবায়ন করছে।
অপর এক সমাজবিজ্ঞানী আব্দুল বারী কর্তৃক ১৫০০টি পরিবারের ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফল হচ্ছে- ৭৫ শতাংশের বেশি প্রেমঘটিত বিয়ে তালাকের মাধ্যমে পরিসমাপ্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে, গতানুগতিক বিয়ের ক্ষেত্রে, তথা পূর্ব-প্রেমঘটিত নয় এমন বিয়েগুলোর ক্ষেত্রে এর শতাংশ ৫ শতাংশের নিচে।
আবেগের তাড়নায় দোষ-ত্রুটি দেখা ও যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রে অন্ধ হয়ে থাকে অনেকেই। যেমনটি বলা হয়, ভক্তির চোখ দোষ দেখার ক্ষেত্রে অন্ধ। হতে পারে পাত্র-পাত্রী দুজনের একজনের মাঝে কিংবা উভয় জনের মাঝে এমন কিছু দোষ রয়েছে যেগুলোর কারণে তিনি অপর পক্ষের উপযুক্ত নন। কিন্তু, এ দোষগুলো বিয়ের পরে ফুটে ওঠে।
প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ে ধারণা করেন, জীবন হচ্ছে একটি ‘লাভ জার্নি’; যার কোনো অন্ত নেই। এ কারণে তারা ভালোবাসা ও ভবিষ্যৎ-স্বপ্ন ছাড়া অন্য বিষয়ে কথা বলে না। পক্ষান্তরে, জীবনঘনিষ্ঠ নানাবিধ সমস্যা ও সেগুলো মোকাবেলার পদ্ধতি আলোচনায় স্থান পায় না। এ ধারণা বিয়ের পর চুরমার হয়ে যায়। যখন জীবনের নানা সমস্যা ও দায়-দায়িত্বের মুখোমুখি হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: