আগামীকাল দৃষ্টিনন্দন ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ৯ জুন ২০২১, ২৩:২৪

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে-ফাইল ছবি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার। এর মধ্যে ৫০টি মসজিদ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন) গণভবন থেকে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫০টি উদ্বোধন করবেন আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১০ জুন)। সকাল ১০টায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এগুলো উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানটি বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৬০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৭ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ এসব মসজিদে থাকছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, পবিত্র হেফজ বিভাগ, শিশুশিক্ষা। এছাড়া অতিথিশালা, পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স হবে একেকটি মসজিদ।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, জেলা পর্যায়ে এ-ক্যাটাগরির প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে ৯০০ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নকশা অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে চার তলা বিশিষ্ট মসজিদ এ-ক্যাটাগরি, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদ বি-ক্যাটাগরি এবং উপকূলীয় এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট সি-ক্যাটাগরির মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এসব মসজিদের মধ্যে জেলা পর্যায়ে হচ্ছে ৬৯টি, উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ১৬টি। এ-ক্যাটাগরির মসজিদের আয়তন প্রায় ৪০ হাজার বর্গফুট, বি ও সি ক্যাটাগরি আয়তন প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালি, কাঁথা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, নওগাঁর কাপাকের, পোরশা, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ,  রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চা্ঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, স্বন্দীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মসজিদ নির্মাণ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: