মহানবী (সা.) এর নির্দেশ মেনে খাবার খেলে তা সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে

সময় ট্রিবিউন | ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৯

মহানবী (সা.) এর নির্দেশ মেনে খাবার খেলে তা সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে

মানুষের প্রাকৃতিক বিষয়সহ প্রত্যেকটি জিনিস অনেকটা হাতে-কলমে শিখিয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পানাহারের বিভিন্ন আদব ও শিষ্টার শিখিয়েছেন। খাবারের সময় সুন্নতের প্রতি খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, রাসুলের নির্দেশ মেনে খাবার খেলে তা সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে।

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একজন মুসলিম তার সব কিছুতে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি তার মুখে খাবারের যে লোকমা আহরণ করে থাকে তাতেও সে সওয়াব পায়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৩১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত আবু জার (রা.)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ঈমানের পর সর্বোৎকৃষ্ট আমল কোনটি? তিনি বলেন, নামাজ ও রুটি (খাবার) খাওয়া। লোকটি এ কথা শুনে আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইলেন। আবু জার (রা.)-তাকে বলেন, যদি রুটি (খাবার) না থাকত, তাহলে আল্লাহর ইবাদত সম্ভব হতো না। ’ অর্থাৎ রুটি খাওয়ার দ্বারাই পিঠ সোজা রয়েছে, ফলে মানুষ আল্লাহর বন্দেগি যথাযথ পালন করতে পারে। -(কিতাবুল কাসব, ইমাম মুহাম্মাদ পৃষ্ঠা ৬২)

তাই খাবার গ্রহণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ এসময় রাসুলের বর্ণিত সুন্নতগুলোর ওপর আমল করাও আবশ্যকীয়। খাবারের সুন্নতগুলোর একটি হলো- দস্তরখানা ব্যবহার করা।কারণ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দস্তরখানা ব্যবহার করতেন। কোনও খাবার পড়ে গেলে তা তুলে খাওয়াও মহানবী (সা.)-এর সুন্নত।- (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)।

মুসলমানদের অনেকেই খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করেন। বর্তমানে বাজারে হরেক রকমের দস্তরখানা বিক্রি হয়, কেউ আবার নিজের বাড়িতে কাপড় দিয়ে তৈরি দস্তরখানা ব্যবহার করেন। পরিচ্ছন্ন যেকোনও ব্যবহারযোগ্য জিনিস দস্তরখান বানানো যায়। দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার খাওয়া বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হলেও এর নির্দিষ্ট কোনও ধরণ নিয়ে কোনও বর্ণনা নেই।

চামড়া, রেক্সিন, কাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে দস্তরখানা বানানো যাবে এবং পরিষ্কার ও ছবি বা লেখামুক্ত হওয়ার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৮৭, ৫৩৮৬, তিরমিজি, হাদিস : ১৭৮৮, উমদাতুল কারি : ২১/৩৬, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৭/১৭৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৩৪৪)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: