‘সবকিছুতে না করতে করতে বিএনপিই নেই হয়ে যেতে পারে’

সময় ট্রিবিউন | ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:০২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ-ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে ‘না’ রোগ দেখা দিয়েছে। সবকিছুতে না করতে করতে বিএনপিই নেই হয়ে যেতে পারে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে না যাওয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রোববার বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী ও ২৪ ঘণ্টার সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির মধ্যে “না” রোগ দেখা দিয়েছে। সবকিছুতে তারা “না” বলে। সংলাপে যাবে না, নির্বাচনে যাবে না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবে না। এখন “না না” বলতে বলতে আশঙ্কার মধ্যে আছি, কখন বিএনপিটাই নেই হয়ে যায়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মনে করতাম। কিন্তু তিনি দলকানা হতে গিয়ে বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান মাথাপিছু আয়ে আমাদের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ এগিয়ে ছিল। প্রায় সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। সেই পাকিস্তান আজ পিছিয়ে গেছে। মানব উন্নয়ন সূচক, সামাজিক সূচক, মাথাপিছু আয়ে এমনকি আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছি। আগে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সেটি এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলকানা হওয়ার কারণে দেখেও দেখেন না, শুনেও শোনেন না এবং স্বীকার করেন না। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আগে তিনবার দেশ পরিচালনা করেছেন, এ সময় অগ্রগতি ও উন্নতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৪৫। এখন আমরা অনেক এগিয়ে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপি, জামায়াত বাংলাদেশে নেতিবাচক রাজনীতি না করত, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র না করত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে অনুরোধ করব, তিনি শিক্ষিত লোক হয়ে কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলেন।’

তথ্যসচিব মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তা দেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিটিভির মহাপরিচালক সোহারাব হোসেন।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: