কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই: ছাত্রলীগ

সময় ট্রিবিউন | ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৮

কুয়েট শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন-ফাইল ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি করেন সংগঠনটি।

এমন প্রেক্ষাপটে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে ছাত্রলীগ।

বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মন্তব্যের প্রতিবাদ ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিভিন্ন সময় ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগকর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

সমাবেশ শেষে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কুশপুতুল বানিয়ে সেটিতে জুতাপেটা ও ঝাড়ুপেঠা করেন ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে এই কুশপুতুল দাহ করা হয়।

কুয়েটের ঘটনা পুনঃতদন্ত করার দাবি জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'যিনি শিক্ষক তিনি আমাদের গুরুজন। তিনি মারা গেছেন এ জন্য আমরা মর্মাহত। কিন্ত কেউ যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মারা যান, আর সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে যদি কেউ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে এটি কাম্য নয়।'

প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাই ও জুতাপেটা করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, 'এই আলাল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেভাবে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আলালগংদের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই গণধোলাই দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।'

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, 'আবরার হত্যার পর সর্বপ্রথম ছাত্রলীগই ঢাকা শহরে শোক মিছিল বের করেছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপকে শিবিরের নেতা-কর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, সে মামলার রায়ের কী অবস্থা।'

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতা-কর্মী হত্যার রায়ের অবস্থাও জানতে চান লেখক।

একই দেশে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি আইন, আরেকটি ছাত্র সংগঠনের জন্য আরেকটি আইন কেন হবে'- বলেও প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হত্যার রায়ও দ্রুত ঘোষণার দাবি জানান।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও বক্তব্য দেন। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: