রাজধানীর শাপলা চত্বরে মোদী বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মতিঝিল থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন থানাধীন মুক্তাঙ্গনে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন আলোচিত ডাকসু নেতা নূরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ।
আরও জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। পরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে আরেক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যোগ দিয়েছিলেন নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম মাদানী। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন তাকেসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
এদিকে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভ থেকে মোট ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানীও রয়েছেন। আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলায় সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে এসি প্যাট্রল, পল্টন থানার ওসি, একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডাকসু ভিপি ভিপি নুরুল হক নুর শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী আটক পুলিশ মতিঝিল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: