বিএনপি-জামায়াত তালেবানের রাজনৈতিক অনুসারি: শাহরিয়ার কবির

সময় ট্রিবিউন | ২২ আগষ্ট ২০২১, ০৫:১৯

ফাইল ছবি

আফগানিস্তান সরকারকে অস্ত্রের মুখে হটিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। মৌলবাদী সন্ত্রাসী তালেবানের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতির সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতসহ তাদের তল্পিবাহকরা একই রাজনীতি অনুসরণ করে বলে জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২১ আগস্ট) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে 'বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের উত্থান এবং আমাদের করণীয়' শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও শান্তি ও গণতন্ত্রকামী দেশের পক্ষে তালেবানদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে না। কারণ তালেবান ধর্মের নামে ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত, ভিন্ন জীবনধারার অনুসারী বিশেষভাবে নারীসমাজের উপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে। ধর্মের নামে সন্ত্রাসের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ জঙ্গি জিহাদিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, 'গাজওয়ায়ে হিন্দ'-এর কথা বলে তালেবান, আল কায়দা, আইএস জঙ্গি সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে, যার প্রধান মদদদাতা হচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও আফগানিস্তানের তালেবানের মূল ঘাঁটি পাকিস্তানে।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ড একই রাজনীতির অন্তর্গত। এদেশের পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী ঘাতক এবং তাদের সহযোগীরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এবং তার প্রধান সহযোগী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে '৭১-এর শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী পাকিস্তানপ্রেমী বিএনপি-জামায়াত-ফ্রিডম পার্টি গং হামলার আগে বলেছিল শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখে বাংলাদেশে তাদের ইসলাম কায়েম করা যাবে না। তাদের ইসলাম হচ্ছে মওদুদিবাদী, সালাফিবাদী কট্টর রাজনৈতিক ইসলাম, যার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় সুফিসাধকদের দ্বারা প্রচারিত শান্তি সমন্বয় ও সহমর্মিতার ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে ধর্মের নামে এই পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী রাজনীতি বিভিন্নভাবে বিকশিত হচ্ছে। উপমহাদেশের মৌলবাদী রাজনৈতিক ইসলামের জন্মদাতা জামায়াতে ইসলামী।'



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: