মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আ. লীগের

সময় ট্রিবিউন | ২১ আগষ্ট ২০২১, ০৫:৪০

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জেলা ও নগর মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

একই সঙ্গে গত বুধবার রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত দলীয় নেতা–কর্মীদের সুচিকিৎসা এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

শুক্রবার নগরের সদর রোডের সোহেল চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভার আয়োজন করে এ দাবি জানানো হয়।

বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খালেদা হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন নগর মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদক গায়েত্রী সরকার, জেলার সহসভাপতি শ্যামলী সাহা, বিসিসির সংরক্ষিত ১৯, ২০, ২১ কাউন্সিলর সালমা আক্তার প্রমুখ।

সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি না দিলে আরও কঠিন কর্মসূচি দিয়ে দুর্বার আন্দোলন শুরু করা হবে। আমরা যে কত দূর যেতে পারি, তা আপনাদের চিন্তারও বাইরে।

সভায় বক্তারা বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত মামলা। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে ফাঁসাতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউএনওর বাসায় কেউ হামলা করেনি। বরিশাল সিটি কপোরেশনের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা গিয়েছিলেন ব্যানার–পোস্টার অপসারণে। সেখানে ইউএনওর নির্দেশে আনসার সদস্যরা গুলি চালিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার শুভেচ্ছাসংবলিত ব্যানার অপসারণের কাজ শুরু করেন। এ সময় ইউএনওর কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাঁদের পরিচয় জানতে চান। পরে তাঁরা সকালে এসে কাজ করার জন্য বলেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সেখানে যান। পরে সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় সেখানে আনসার সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল গাজী বাদী হয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: