বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি: কাদের

সময় ট্রিবিউন | ১৭ আগষ্ট ২০২১, ০২:৩০

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে নয়, নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বসে শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর ভর করে টিকে আছে। আসলে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, নেবেও না।

সোমবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ছাত্রদল নেতার জামিন না হওয়ায় নির্লজ্জভাবে সরকারের সমালোচনা করেছেন। অথচ যে কোন ব্যক্তির জামিন পাওয়া একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া, এটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারকে দোষারোপের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে চেয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার। কাউকে দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়। আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী বা জননিরাপত্তা ভঙ্গ ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে এক গ্লানিময় অপবিত্র অধ্যায়। এই দিনে জাতির পিতাকে হত্যার বেনিফিশিয়ারি গ্রুপ এবং খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথাকথিত ভয় ও আতঙ্কের গল্পের আড়ালে যে রক্তচক্ষু প্রদর্শন করেছেন বাঙালি জাতি তার পরোয়া করে না। ১৫ আগস্টের ইতিহাসের বিয়োগান্তক অধ্যায় থেকে বাঙালি জাতি শিক্ষা গ্রহণ করে সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার দেশকে কখনোই বিএনপি শূন্য করতে চায়নি, এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নয়। বরং বিএনপি নীতিবিবর্জিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দিয়েছে। এমনকি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অতীত কর্মকান্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে দলটি (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত, গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি রক্ষা করে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় সর্বদা ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপির মিথ্যা-বানোয়াট-ভ্রান্তিমূলক বয়ান বাংলার জনগণ সবসময় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের শোকের মাস আগস্টে শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: