রিজভীর আরও বিশ্রাম ও চিকিৎসা দরকার: তথ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ১১ আগষ্ট ২০২১, ২৩:১৭

ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সুস্থ হয়ে ফিরে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, রিজভী আহমেদ সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবার বক্তব্য প্রদান করছেন এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি। কিন্তু তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হন নাই। তার আরও বিশ্রাম দরকার, আরও একটু চিকিৎসা দরকার।

বুধবার (১১ আগস্ট) তথ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে '১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহিনুর মিয়া।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদ অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। উনি অসুস্থ থাকার কারণে ওনার বক্তব্য বেশ কিছুদিন ধরে মিস করছিলাম। আমি খোঁজ খবর নিয়েছিলাম রিজভী আহমেদকে দেখা যাচ্ছে না কেন? তখন বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেলাম তিনি অসুস্থ সেজন্য তাকে দেখা যাচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, তিনি (রিজভী আহমেদ) সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, আবার বক্তব্য প্রদান করছেন এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি। কিন্তু তার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হন নাই। সেই কারণে তার আরও একটু বিশ্রম দরকার, আরও একটু চিকিৎসা দরকার। তিনি কাল যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি আসলে সুস্থতার লক্ষণ নয়। তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এটা ড্যাবের ডাক্তার করতে পারে প্রয়োজন হলে আমরাও সহায়তা করতে পারি সেই চিকিৎসায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি টিকা নিয়ে প্রথম থেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং টিকা গ্রহণ এটা জনস্বার্থের কাজ। সমগ্র বিশ্বব্যাপী গণটিকা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও গণটিকা প্রদান করা হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে সেই টিকা ডব্লিউএইচও অনুমোদিত এবং বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত কার্যকর টিকা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের শত কোটি মানুষকে যে টিকা প্রদান করা হচ্ছে সেই টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অবশ্যই জনস্বার্থ বিরোধী। তারা আগেও সে এ কাজ করেছে গতকালও রিজভী আহমেদ আবার সে কাজ করেছে। এটা জনস্বার্থ বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তিনি তার বক্তব্যে গতকালই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে কথা বলেছেন, তাই তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেন নাই তিনি মর্ডানার টিকা নিয়েছেন। তিনি ঘুরিয়ে খেয়েছেন। এই টিকাও সরকারই গ্রহণ করেছে যেই টিকাই তিনি গ্রহণ করুন না কেনো তা সরকার সংগ্রহ করেছে। সরকারের টিকা কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা। এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও তাদের শীর্ষ নেতাদের বহুজন গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অন্যান্য অনেক টিকার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। এদের কার্যকরিতা ৯২-৯৮ শতাংশ।

এটা অত্যন্ত ভালো একটি টিকা, যেটা অ্যান্টিবডি তৈরি করে কোন কোন গবেষণায় বলা হচ্ছে এটি দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে বলা হচ্ছে ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ৯২% কার্যকর। ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে অন্যান্য টিকা কতটুক কার্যকর সেটা একটি প্রশ্ন আছে। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৯২% কার্যকর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: