গোলাম রসুল। বছর চারেক আগে মারা গেছেন। ছিলেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। তবে মৃত্যুর চার বছর পরেও এবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে পদ পেয়েছেন।
মৃত্যুর চার বছর পর কমিটিতে নাম মনোনীত হওয়ায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। আর দলের কর্মীরা বলছেন, মৃত্যুর চার বছর পরও তার মৃত্যুর সংবাদটি কেন্দ্রীয় কমিটি বা জেলা কমিটির না জানাটা দুঃখজনক।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দেড় বছর পর গত ৩০ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই জেলা কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে ১৯ জন উপদেষ্টা মণ্ডলীসহ ৯৪ জন সদস্যের নাম রাখা হয়েছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য (ক্রমিক নং-১০) নাম আছে গোলাম রসুলেরও।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা কমিটিতে দেখা গেছে, শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রসুলের নাম আছে। যিনি এক সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
এ বিষয়ে গোলাম রসুলের ছেলে গোগা ইউনাইটেড আদর্শ কলেজের প্রভাষক ওমর ফারুক বলেন, ‘তার বাবা ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মৃত্যুর চার বছর পর বাবা কীভাবে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যপদ পেলেন, বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমরা জেলা কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বিষয়টি জানাতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। চিঠি হয়তো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পৌঁছায়নি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: