বিএনপি জামাতের অভয়াশ্রম দর্জি মনিরের শেখ হাসিনা পরিষদ

সময় ট্রিবিউন | ৩০ জুলাই ২০২১, ২১:৫৯

দর্জি মনির

গুলিস্তানের এক কাপড়ের দোকানে দর্জির কাজ করা 'দর্জি মনির' রাতারাতি বনে যান আওয়ামীলীগ নেতা, ঢুকে যান মুজিব কোটের ভেতরে। খুলে ফেলেন নতুন দোকান "বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ"।

সময় ট্রিবিউনের ধারাবাহিক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে দর্জি মনিরের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাবনার বিষয় হচ্ছে, দর্জি মনিরের শেখ হাসিনা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে মূলত বিএনপি এবং জামাতের সক্রিয় কর্মীদের অভয়াশ্রম হিসেবে।

দর্জি মনির এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা পরিষদের ৩৭ টি জেলা কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। যেখানে প্রতিটি কমিটিতেই প্রায় ৩০ শতাংশ নেতাকর্মী পাঁচ বছর আগেও বিএনপিতে সক্রিয় ছিল। অনেকের বিপক্ষে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী হত্যা এবং বাড়িঘর ভাংচুরের মত গুরুতর অপরাধে প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি-জামাত পন্থীরা আওয়ামীলীগের মূল দলে ভিড়তে পারে না, সবাই চিনে ফেলবে বলে। তাই এসব হাইব্রীডরা কৌশল পরিবর্তন করে বিভিন্ন ভূঁইফোঁড় সংগঠনে নাম লেখাচ্ছেন যাদের কর্মকান্ডই চলে অফিস রুমে। রাজপথে নামার প্রয়োজন নেই, সেজন্য রাজপথের ত্যাগী আওয়ামীলীগারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতারাতি আওয়ামীলীগ হয়ে যাওয়ার রাস্তাটাও পরিষ্কার।

এককালের কুখ্যাত ছাত্রদল ক্যাডার, মহাখালী আইএইচটি'র মিল্টনকে নিয়েও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে দেখা গেছে দর্জি মনিরের।

এছাড়াও, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলা হামলার ভয়ে বিএনপি জামাতের যে সব নেতা কর্মী দেশ ত্যাগ করেছিলো তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন দেশে কমিটি এবং মূল কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে।

জেলায় জেলায় বিএনপি জামাতের সক্রিয় কর্মীদের শেখ হাসিনার নামে গঠন করা দলে রিক্রুটের বিষয়টি ভাবাচ্ছে আওয়ামী অন্তঃপ্রাণ নেতাকর্মীদের। প্রশ্ন উঠেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা সময় ট্রিবিউনকে জানান, তারা ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। খুব দ্রুত ডিজিটাল আইন ও প্রতারণার দায়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য দর্জি মনিরকে ফোন করলে তা রিসিভ করেন নি তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: