নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানিতে আগুন লেগে ৫২ জন নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল।
রোববার বেলা পৌঁনে বারোটায় আওয়ামী লীগের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেখানে যান।
এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাফেলতি তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা হবে। এরকম অগ্নিকান্ড যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন- এ দুর্ঘটনার জন্য মালিকপক্ষের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা যেমন কলকারখানা অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, রাজউকসহ যাদেরই এ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে গাফেলতি রয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তা চিহ্নিত করে তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন- আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি এমপি, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবু্দ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম ও আনোয়ার হোসেন।
এ সময় তাদের সাথে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং রুপগঞ্জ আসনের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, রুপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
মির্জ আজম এসময় বলেন, বিল্ডিং কোড না মানা, ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা না করার কারনে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ কারনে প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ দুর্ঘটনার সাথে যারই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: