গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে: মির্জা ফখরুল

সময় ট্রিবিউন | ২৯ জুন ২০২১, ০৬:৪৫

ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আমাদের সব শক্তি ও মেধাকে সেই কাজে নিয়োগ করবো।

সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পুরো রাষ্ট্রের কাঠামোটাকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে। এটা ভয়াবহ একটা অপরাধ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে যে ভাবনা, আশা- আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এবং রাষ্ট্রের যে গণতান্ত্রিক চরিত্র নির্ধারণ করেছিলাম, সেই রাষ্ট্রের চরিত্রকে তারা পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে শুরু করেছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। সেসঙ্গে এখন নির্বাচন কমিশনও একটা ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, একটা কথা সত্যি যে আইনগত দিক বলুন আর সাংবিধানিক দিক বলুন এই সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিকভাবে হবে। সেজন্য আজকে যেটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনগণের ঐক্য এবং সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের ঐক্যবদ্ধ করে একটা গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে, একটা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে আমরা আমাদের সব শক্তি ও মেধাকে সেই কাজে নিয়োগ করবো।

বিএনপির গবেষণা সেল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস’ (বিএনআরসি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ। সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. জাকারিয়া প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: