খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল

সময় ট্রিবিউন | ৩১ মে ২০২১, ০১:০৬

ফাইল ছবি

হাসপাতালে সিসিউইতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চিকিৎসা করছেন। সুচিকিৎসার কারণে দেশনেত্রীর জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

রোববার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এই জ্বর হয়ত খালেদা জিয়ার আর আসবে না। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দুঃখ হয়- যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনীর কারানির্যাতন ভোগ করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে- তার অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টার করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা নেতা। জাতির সবচেয়ে সংকটের মুহূর্তে তিনি সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খল থেকে এই জাতিকে মুক্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে তিনি (জিয়াউর রহমান) সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছিলেন এবং নিজে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। এর মধ্যদিয়ে তাঁরা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। জাতিকে তিনি (জিয়াউর রহমান) বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। জাতির মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিলেন। একটি বিভক্ত জাতিকে তিনি একত্রিত করেছিলেন। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন বিপ্লব শুরু করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে পুরো জাতিকে, সমগ্র বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আমরা আজকের এই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। দুর্ভাগ্য, আমাদের এই জাতি যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লড়াই করেছিল। আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে সেই উদার গণতান্ত্রিক যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, তাকে ধ্বংস করে দিয়ে আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছদ্মবেশে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আসুন ১৯৭১ সালে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজ আবার লড়াই শুরু করি, সংগ্রাম শুরু করি। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এ দেশের উদার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিচ্ছে। তারাই আজ সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এই দেশকে নির্মাণের জন্য কখনোই কোনো শুভ কাজ করেনি। এ দেশের জন্য তারা কোনো ভালো কাজ করেনি। শুধু ধ্বংসই করেছে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: