বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত :তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মে ২০২১, ০০:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান নিরীহ বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে যেভাবে বাঙালিকে হত্যা করেছে এজন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা ক্ষমা চাইতে বলছি। কিন্তু গতকাল ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবে কাম্য নয়। এই পুরো বক্তব্য বিএনপি অন্তর্গত।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বীর মুক্তিযুোদ্ধা দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সারাহ বেগম কবরী এর স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড.হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে থেকে ক্ষমা চাইবে কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছে পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে। এই পুরো বক্তব্যটা বিএনপি অন্তর্গত। এধরণের বক্তব্যের তিব্র নিন্দা জানান। আমরা আশা করি পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইবে। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির সাথে পাকিস্তান যে অন্যায় করেছে সে অন্যায়ের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংস্কৃতির ওপর বিভিন্ন ভাবে আঘাত আসছে। আমরা যেন আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে না দেই। আমাদের সংস্কৃতি লালন করি এবং ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। অনেক সময় দেখা যায় রবীন্দ্র সংগীত ব্যন্ডের গানের তালে বাজানো হয়।এই মিশ্র সংস্কৃতি থেকে আমাদের বাঙালির সংস্কৃতিকে উদ্ধার করতে হবে, লালন করতে হবে। বাঙালিরা ধনী না হতে পারে, তবে সংস্কৃতির দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে একটি ধ্বনি জাতি।

তিনি বলেন,করোনার ভয়াবহ রুপকে মোকাবিলা করতে হবে। তাই করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসীনতা হওয়া যাবে না এতে বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা দরকার তা অনেকেই মানছে না।

সারাহ কবরীকে স্মরণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন কবরী। আওয়ামী লীগের থেকে মনোনীত হয়ে এমপি হয়েছেন। এতো স্বল্প সময় চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। তিনি একজন কর্মঠো ব্যক্তি ছিলেন। কবরী শুধু একজন অভিনয় শিল্পী ছিলেন না আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ কর্মীও ছিলেন। সারাজীবন মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: