আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগ সংঘাতের কোনো আশঙ্কা করছে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে (ঢাকা) বিএনপিও সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনারা (সাংবাদিক) তো পাল্টাপাল্টি বলে নিউজও করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি মারামারি কোথাও হয়নি। এখানে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের কোনো সংঘাত হয়নি। তারা (বিএনপি) এ শহরে প্রথমে পদযাত্রা করেছে। পাশে আমাদের সমাবেশ হয়েছে। সেখানেও তো কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
১০ তারিখের সমাবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ওই দিনের জন্য তো নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছি, আমরা সমাবেশ করতে চাই। এখানে পাল্টাপাল্টি কেন? মানবাধিকার দিবস পালন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোনো পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই।
কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে সমানে রেখে দেশের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ বা সহিংসতা প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, ঘটে নাই। যেটুকু হচ্ছে সেটুকু নাশকতা এবং বিএনপি ও তার দোসররাই করে যাচ্ছে। নাশকতা পরাজিত হবে, জনগণের শক্তির বিজয় হবে। যুগে যুগে, দেশে-দেশে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আর বাংলাদেশেও এটার ব্যতিক্রম হবে না
নির্বাচনে জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৪ দলের পক্ষ থেকে কিছু আসন দাবি করতে পারে, যারা বিজয়ী হতে পারেন এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের।
বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই এ নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কি করতে পারি? তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না, পণ্ড করতে পারবে না। যে খারাপ মতলব নিয়ে এ নির্বাচনে বিরোধিতা করছে তারা, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা এরইমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে।
গত শনিবার ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ দিনে বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকবেন।
অন্যদিকে গুম-খুনের শিকার এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: