৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। প্রার্থী বাছাই শেষে সোমবার বিকালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
রোববার দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন তার কথা রাখবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। নির্বাচনে যেন ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন হয়।
রোববার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার রাতে তার ভাবি বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, তিনি একা গিয়েছেন। দলীয় কিছু হলে পার্টি মহাসচিব হিসাবে আমাকে যেতে হতো। আমি আসলে ওই বৈঠকের বিষয়ে জানিই না। রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম যদি নির্বাচন করেন আমরা মনোনয়ন ফরম দেব, তাদের স্বাগত জানাব। আমরা চাই বেগম রওশন এরশাদ যেন নির্বাচনে আসেন। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব।
রোববার বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত এবং লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।
মো. মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনো বিভেদ নেই। জিএম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নি, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, মোবারক হোসেন দুলু, তারেক আহমেদ আদেল, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. বেলাল হোসেন, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, ইউসুফ আজগর, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমদু, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: