বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি: যুবলীগ চেয়ারম্যান

সময় ট্রিবিউন | ৫ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৫৫

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি: যুবলীগ চেয়ারম্যান

বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিবে এটাই তাদের উদ্দেশ্য। এটা বার বার প্রমাণিত যে, এই সংগঠন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন। সুতরাং আজকে তাদের নিষিদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শেখ পরশ বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে এসে অবস্থান কর্মসূচি করছি। কারণ যারা এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। সেই সংগঠন আজকে ২ দিনের অবরোধ দিয়েছে তারা এর আগেও অবরোধ দিয়েছিল। আপনারা দেখেছেন ২৫ অক্টোবরে তারা তাদের পুরোনো সন্ত্রাসী চেহারা দেখিয়েছে। কী ন্যাক্কারজনকভাবে, নির্মমভাবে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, তারা লালমনিরহাটে যুবলীগের নেতাকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে। এভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা বিএনপির নেই। এ কারণেই তারা সাধারণ জনগণের ওপর চড়াও হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের মাধ্যমেই সৃষ্টি। আমরা কোনো কিছুতে ভয় পাই না। এদেশের মাটির অনেক গভীরে আমাদের শেকড়। সুতরাং আমরা ভয় পাই না। এদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছে এবং রাজপথে থেকেই রাজনৈতিক ভূমিকা রাখবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সামনে নির্বাচন তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তাদের আর পেছনে ফেরার পথ নাই। তাই তারা চড়াও হবে। আমাদের সাংবাদিক ভাইদের ওপর তারা চড়াও হয়েছে। ২০০১ সালের পর থেকেই তারা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, আজও চালাচ্ছে। তারা বিচার বিভাগে আঘাত হানতে চায়। যারা তাদের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যার শিকার তাদের পরিবার যেন বিচারালয়ে যেয়ে বিচার চাইতে না পারে সেজন্য বিচার বিভাগের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য প্রেস ক্লাবে বোমা মেরেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি তো তিনবার ক্ষমতায় ছিল। দেশের উন্নয়ন করার সুযোগ তাদেরও ছিল্ কিন্তু কেন তারা তা করে নাই। কারণ তাদের উদ্দেশ্যই ছিল এদেশের যুবসমাজ এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুখোশও উন্মোচন হওয়া উচিত। কীভাবে বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল তা জানার অধিকার এদেশের তরুণসমাজের আছে। সে যে গুপ্তচর, সে যে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার সপক্ষের সকল শক্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তা জানার অধিকার সবার রয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা-১০ আসনের ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আরম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: