ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন রাখতে শনিবার থেকেই মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি টহল দিচ্ছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন পাঁচ জন। এরা হলেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মো. জিয়াউল হক মৃধা।
এ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন চার লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। ১৩২ কেন্দ্রের ৮৪৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনেরপ্রার্থী হলেন চার জন। এরা হলেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ।
এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ জন নির্বাহী ও দু'জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, আর লক্ষ্মীপুরে থাকবেন ২২ জন নির্বাহী ও একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও কেন্দ্র পাহারায় দুই উপ-নির্বাচনে পুলিশ, আনসারের ১৬ থেকে ১৮ জনের ফোর্স। এছাড়া পুলিশ আনসার ও এপিবিএনের ১৬টি মোবাইল টিম ও ১১টি স্ট্রাইকিং টিম নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া র্যাবের ১৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি।
এদিকে, আগামী ২৬ নভেম্বর পটুয়াখালী-১ আসনে উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। অর্থাৎ নির্বাচিত হয়ে আসা তিন সংসদ সদস্য কোনও অধিবেশন আর পাবেন না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: