ফখরুলের মিথ্যাচারের জবাব দিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামাল খান

সময় ট্রিবিউন | ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৫:১৫

ছবিঃ সংগৃহীত

"আওয়ামী লীগ করলেই চাকরি হয়" মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি কামাল খান।

গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুলের এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জবাব দেন কামাল খান। কামাল খানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হল-

"দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির পাশাপাশি পড়াশোনা করে বিসিএস সহ বেশ কয়েকটা চাকুরীর পরীক্ষা দিয়েছিলাম, প্রিলি রিটেন টিকেও শেষ পর্যন্ত চাকুরীটা হয় নাই। যার জন্য অনেকের দুয়োধ্বনি এখনও শুনি!

অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব কত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে গেলেন গতকাল সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে!

"আওয়ামিলীগ করা ছাড়া নাকি কারো চাকুরী হয় না।" অথচ আমার মত অসংখ্য ছাত্রলীগের তরুণ রিটেন টিকেও বিসিএসসহ অন্যন্য সরকারি চাকুরীর ভাইভাতে গিয়ে বাদ পরেছে। উদাহরণ দিতে চাইলে শতাধিক নাম উল্লেখ করতে পারি৷

বর্তমান সরকারের সময়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া ১০০% স্বচ্ছ। এটি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন।

বরং আমরা দেখেছি, বর্তমান সরকারের সময়ে ছাত্রদলের নিষ্ক্রিয় কর্মী কিংবা শিবিরের ছেলেমেয়েরা তুলনামূলক বেশী চাকুরী পেয়েছে।

প্রচলিত ধারণা আছে, সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের পরীক্ষায় ভালো করার পরেও নিয়োগ না দিয়ে মাঝে মাঝে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে বদ্ধ পরিকর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা।

বিএনপি-জামাতের দুঃশাসের সময়গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে হতো কমবেশী সবাই জানেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া ভবনের ইশারায় ছাত্রদলের তালিকার বাইরে কেউ বিসিএসসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে চাকুরী পায় নাই।

মধুর ক্যান্টিন থেকে তালিকা হাওয়া ভবন হয়ে পিএসসি তে যেত। সেই মোতাবেক পিএসসি সুপারিশ করতো।

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর এদেশের মেধাবীরা'ই চাকুরী পাচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে৷ তবুও নির্লজ্জ মিথ্যাচার চলছে। মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: