আমরা শান্তি সমাবেশই করে যাবো নির্বাচন পর্যন্ত : কাদের

সময় ট্রিবিউন | ২৪ মে ২০২৩, ২১:২১

ছবিঃ সংগৃহীত

কেউ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এলে তাদের প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকায় বিএনপি ও পুলিশের গতকাল ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কিছু বিষয় আছে রাজনৈতিক। কিছু বিষয় আছে সেটা প্রশাসনিক। এখন পুলিশের সঙ্গে তাদের যে সংঘাত, গতকাল তারা গায়ে পড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলো। একটা গাড়ি পুড়িয়ে ফেলল, একটাতে আগুন দিলো, একটা ভাঙচুর করল। আমরা এতদিন বলে আসছিলাম, তারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করবে, সন্ত্রাস করবে এবং এটা তাদের পুরোনো স্বভাব। কাজেই যখন যেটাকে যেভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেটা উদ্ভূত পরিস্থিতিই বলে দেবে, যে কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা সংস্থার কী দায়িত্ব।'

'রাজনৈতিক যেকোনো বিষয় আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। রাজনীতিরও একটা ভাষা আছে। শুধু গতকালের এই বিশৃঙ্খলাই না, এর দুই দিন আগে যে ঘটনা ঘটে গেছে, রাজশাহীতে তারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছে। তিনি কোনো সামান্য ব্যক্তি, এটা মনে করার কারণ নেই। বিএনপির জেলা আহ্বায়কও বিএনপির সেন্ট্রাল কমিটির লোক। আমি অবাক হলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটা শব্দও উচ্চারণ করলেন না।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ ঘটনাটি ভালোভাবে দেখেননি। তিনি নিন্দা করেছেন। সেখানে বিএনপি থেকে কোনো দায়িত্বশীল নেতা তাদের রাজশাহীর নেতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিষোদগার করা প্রসঙ্গে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সে প্রসঙ্গে শুধু স্লিপ অব টাং বলেই তাদের এক জয়েন্ট সেক্রেটারি দায়িত্ব শেষ করেছেন। এটা তো এখানেই শেষ হবে না।'

'তারা তাদের মিছিলে "পঁচাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার" এই স্লোগান দিয়েই যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল সাহেবের সামনেই দিচ্ছে। কিছু বলেন না তারা। তাদের সিনিয়র নেতাদের সামনেই (স্লোগান) দিচ্ছে। প্রকাশ্যে এর আগেও রাজশাহীতে আরেকটা ১৫ই আগস্টের ঘটানোর হুমকি তাদের এক নেতা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বিএনপির কাউকে একটা কথাও বলতে শুনিনি। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ হয়, তাদের নেতারা রাজশাহী থেকে যেটা বলেছেন, সেটা বিএনপিরই কথা।'

কাদের বলেন, 'বিএনপি এখন বলছে তাদের ১০ দফা, ২৭ দফার দরকার নেই, তারা ১ দফায় আসছে। এখন আমরা তাহলে কি বুঝে নেব যে তাদের ১ দফা শেখ হাসিনাকে হত্যার দফা? শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো, এটাই কি তাদের ১ দফা? এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলে, আমরা তাদের বক্তব্য, তাদের নেতাদের বক্তব্য শুনতে চাই।'

'রাজশাহীতে সামান্য কোনো ব্যক্তি কিছু বলেন নাই। আর এটা স্লিপ অব টাং, দুই দিন পর এসে জয়েন্ট সেক্রেটারি বলে। জেনারেল সেক্রেটারি কোনো কথা বলেন না, স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতারা কোনো কথা বলেন না। নিশ্চয়ই এটা তারা মেনে নিয়েছেন বা এটাতে তাদের মৌন সম্মতি আছে। উপর দিয়ে তারা বলতে পারছেন না, কাউকে দিয়ে বলাচ্ছেন।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা শান্তি সমাবেশই করে যাবে নির্বাচন পর্যন্ত। সতর্ক অবস্থানেই থাকব। আর নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এলে আমরাও সেটা প্রতিরোধ করব। যারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসবে, আমরা তাদের প্রতিরোধ করব।'


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: