যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয়- এমনটি মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগামীকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আঞ্জুমানে মফিদুল এতিমখানায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ বিষয়ক উপ-কমিটি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা ও সাহসকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, আগামীর ভবিষ্যৎ হিসেবে শিশুদের গুরুত্বও দিয়েছেন অনেক ৷ বঙ্গবন্ধু আদর্শ লালন করেই এদেশকে বিশ্বের রোল মডেল করে এগিয়ে যাচ্ছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের রোল মডেল। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা এদেশের জন্ম চেতনাকে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নেই ৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, সেটা নিয়ে বিএনপির মাতামাতি করছে তাদের লজ্জা থাকা উচিত। পৃথিবীর কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাতামাতি হচ্ছেনা। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যিনি বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন না, বিশ্বকে নিয়ে ভাবেন, তাকে নিয়ে আমাদের ভাবার বা বলার কিছু নেই। তিনি নিজের আইন নিজেই লঙ্ঘন করেছেন। ৭০ বছরেও জোর করে এমডি থাকতে চান। নিজের কর্মকাণ্ডেই তিনি অসম্মানিত হয়েছেন।
ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: