ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে এ. বি ছিদ্দিক

রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ | ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০৫

সংগৃহীত

নিজে লাভের জন্য বা পেশা হিসেবে নয়, দেশ ও মানুষের সেবার জন্য রাজনীতি। আর সেই অভিপ্রায় নিয়েই দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক বর্তমান ময়মনসিংহ মহানগর কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক (এ বি ছিদ্দিক)।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সমাজ ও জনগনের সেবার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হওয়া। সেই সাথে আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার দৃঢ় প্রয়াস তার। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে সবসময় রাজপথে থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশ ও জনসেবার পরিধিকে আরো বিস্তৃত করতে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়মনসিংহ মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক (এ বি ছিদ্দিক)।

বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, দলীয় নির্দেশনা পালন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবিক ও জনকল্যাণমুলক কাজের মূল্যায়ন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরনে আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনিই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।

ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মাঝে প্রথম সারিতে যারা রয়েছেন তাদের মধ‍্যে একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক, কৃষকদের নয়নের মণি ময়মনসিংহ মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক (এ বি ছিদ্দিক)।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে অবস্থানকারী এ বি ছিদ্দিক এর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক বিবরণ-
এ বি ছিদ্দিক বিশিষ্ট সমাজ সেবক, নিরহংকারী ও পরোপকারী এই মানুষটি নিজ এলাকাসহ মহানগরের প্রায় সবকটি এলাকায় সকলের কাছে একটি প্রিয়মুখ ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত। আপাদমস্তক একজন মানব দরদী ও সমাজ সেবক এই মানুষটি ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের শম্ভুগঞ্জের সরকার বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সামাজিক ও উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের কারণে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন পিতা মরহুম আঃ মান্নান সরকার। বঙ্গবন্ধু আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ১৯৮২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম হাতেখড়ি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরব উপস্থিতি ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। তৃণমুল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের দুঃসময়ে সামনের সারিতে থেকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। পদ পদবীর প্রত্যাশী না হলেও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নানা অবদানের কারণে ২০১৪-১৫ সালের দিকে ময়মনসিংহ জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। জেলা কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মহানগর কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে দলের দায়িত্বভার পান। যে দায়িত্ব অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এ বি ছিদ্দিক শিক্ষাগত যোগ্যতায় বি.এ(অনার্স), এম.এ(ইতিহাস) ও এলএল.বি।

এ বি ছিদ্দিক জনপ্রতিনিধি না হয়েও একাধারে রাজনীতি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মাকান্ড ও ব্যবসায়ীকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে নিজ মেধা এবং দক্ষতায় গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষ অবস্থানকারীদের একজন হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার ও প্রসারে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে- ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ। সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এস.কে.জি. মডেল স্কুল, শম্ভুগঞ্জ। সহ-সভাপতি, ইউনিট ইউনিভার্স মানবাধিকার সংস্থা, বিভাগীয় কমিটি। আজীবন সদস্য, মুসলিম ইনস্টিটিউট। সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন পরিষদ। সাবেক সভাপতি, অক্ষয় যুব সংঘ। সাবেক সভাপতি, চর বড়বিলা দাখিল মাদ্রাসা। সাবেক সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ময়মনসিংহ মহানগর শাখা। সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সংঘ। সাবেক বিদ্যুতসাহী সদস্য(২বার), রাঘবপুর ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা এবং আহবায়ক, বৃহত্তর চরাঞ্চল উন্নয়ন ঐক্য পরিষদ। এছাড়াও মানবিক নানা কাজের সাথেই তার সম্পৃক্ততা তো রয়েছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নির্দেশনা অনুসারে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, কর্মহীন অসহায়দের মাঝে খাদ্য উপহার বিতরণ, হতদরিদ্রের মাঝে ইফতার সামগ্রী-বস্ত্র-ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ, দরিদ্র কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়ানোসহ কৃষক সমাজের স্বাার্থরক্ষায় সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পৃষ্ঠপোষক অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচার জিয়া ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলেনে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়মনসিংহের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং পুলিশের হুলিয়া জারি থাকায় পলাতক জীবন-যাপন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী বিএনপি-জামাত জোটের প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ক্ষমতাসীন জোটের রোষানলে পড়ে কর্মস্থলে হামলার শিকার হন এবং তার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা মামলার আসামী হন। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর নারকীয় গ্রেনেট হামলার প্রতিবাদে জামাত-বিএনপি জোট সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তারই নেতৃত্বে কৃষকলীগের উদ্যোগে ময়মনসিংহ শিববাড়ি আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল রাজপথ কাঁপায়। ১/১১-এর সংকটকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ময়মনসিংহের রাজপথে সর্বদা সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও ১৯৯৬ সাল থেকে সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও মহাজোট প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন।

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন। সুসম উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন ও দেশের উন্নয়নে শরিক হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চান এ. বি ছিদ্দিক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: