গাইবান্ধা-৫ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আল মামুন

সময় ট্রিবিউন | ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০২

সংগৃহীত

নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) সংসদীয় আসনে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির মৃত্যুতে শূন্য হয় এই সংসদীয় আসনটি। তফশিল অনুযায়ী এই আসনটিতে আগামী ১২ অক্টোবর উপ-নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দলীয় ধানমণ্ডিতে অবস্থিত দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মামুন। মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের সময় সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহের পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম"।

তিনি জানান, "একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে সবসময় আপোষহীন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রাজনীতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। সাঘাটা-ফুলছড়ির স্থানীয় রাজনীতিতেও নেতাকর্মীদেরকে সময় দিয়েছি। বিভিন্ন সংকটকালীন সময় যেমন বন্যা ও শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে সাঘাটা-ফুলছড়ির সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টার সংগ্রামে একজন সারথী হয়ে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করবো। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সফল উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নত ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল সাঘাটা-ফুলছড়িকে স্মার্ট সাঘাটা-ফুলছড়িতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আমি নির্বাচিত হলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনকে স্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থাকরণ, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নদী কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরী, বালাসী-বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ, শিল্প-কলকারখানা, হাইটেক পার্ক, আইসিটি সেন্টার ও তৈরী পোশাক কারখানা স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ, দ্রুত গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থাকরণ, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের চেষ্টা করবো। চর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি চরাঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষকদের ভাগ্যেন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরী করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সদ্য প্রয়াত মাননীয় ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে সাঘাটা-ফুলছড়িকে আরোও উন্নত ও সমৃদ্ধ উপজেলাতে রূপান্তর করা হবে। দুই উপজেলার সর্বস্তরে ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে জবাবদিহিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলা পরিচালিত হবে। সমগ্র দেশে এই দুটি উপজেলাকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দলীয় মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সাঘাটা-ফুলছড়ির সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মরা আমাকে নিয়ে অনেক বেশী আশাবাদী। দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকার মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি মনোনয়ন পেলে সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সকলের দোয়া/আশীর্বাদ ও সমর্থন কামনা করছি।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: