সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দর্শনীয় করতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে: সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ মে ২০২১, ২২:১৫

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে দর্শনীয় করে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করেছিলেন।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শিশুপার্ক করেছিল। পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেন নাই কেন? কারও মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পাইনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে কত সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, উজাড় করে ফেলা হয়েছিল এই নগরীর সৌন্দর্য।

এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তব সম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে। পুরোনো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো প্রকল্প হাতে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দেন তিনি।

ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এ ধরনের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আগে জীবন পরে জীবিকা। এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সকলে মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: