সম্প্রতি নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর হওয়া সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ/ছাত্র সংসদ এর আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্র সংসদে প্রথমে এডহক কমিটি এবং পরবর্তীতে সেই কমিটি কে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রূপ দিয়েছিলেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ।
এরপর এক ছাত্রের করা রিটে বিষয়টি গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। আদালত সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের নতুন কমিটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। কিন্তু আদালতে কমিটি স্থগিত হলেও সেই কমিটির ব্যানারে ভিপি মোঃ তাসিন শেখ কামাল এর জন্মদিন পালন করেন। যা গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়। সম্প্রতি একে ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে নানান ধরনের গুঞ্জন। এ বিষয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে ভিপি মোঃ তাসিনের মুখোমুখি হয় সময় ট্রিবিউন।
প্রশ্ন উত্তরের এক পর্যায়ে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে সময় ট্রিবিউনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মোঃ তাসিন মিথ্যাচারী ও গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে অনেকটা ক্ষোভ ঝেড়ে আবেগের সাথে বলে উঠেন, দু-কলম লেখার স্বাধীনতা তাঁদের আছে মানলাম। তবে আমরা যারা বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির মুক্তির অগ্রনায়ক, রাজনীতির কবি, অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে লালন করে তাঁর মতো আত্মত্যাগী, ধৈর্যশীল, অকুতোভয় হবার এবং মানব সেবায় নিজেদেরকে নিবেদিত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে ছাত্ররাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তারা কখনোই রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারে না। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র জাতীয় বীর শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জন্মদিনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচি আমাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের চেয়ে এবং হৃদয় নিংড়ানো দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে, যার কারণে আমি তা পালন করার চেষ্টা করেছি।
জানা যায়, বিগত ২৬ জুলাই সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের যৌথ বেঞ্চ সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের নতুন কমিটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
তবে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ তাসিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রনেতারা হাইকোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে ব্যক্তিগত শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম ব্যতীত কোন প্রকার সংসদীয় কর্মকান্ডে জড়িত নেই।
এছাড়াও সবশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো মানুষদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার জন্মদিনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচির আয়োজন ও অংশগ্রহন কি আমাদের অধীকার ও দায়িত্ববোধের মধ্যে পরে না?
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: