আমরা আন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছি

মোঃ মামুন, ভোলা | ৮ আগষ্ট ২০২২, ১৮:৫৮

সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পদ্মাসেতু দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেছে। পদ্মাসেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন। ভোলা-বরিশাল ব্রিজও একদিন হবে। ভোলা-লক্ষ্মীপুর ব্রিজও একদিন হবে ইন শা আল্লাহ। 

রবিবার (০৭ আগস্ট) রাতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালে আমরা আন্দোলন করে আইয়ুব খানকে বিতাড়িত করেছি। এটাকে বলে আন্দোলন। আমরা গত ১৪ বছর ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একই বক্তব্য শুনছি। তারা রাজপথ দখল করার কথা বলে। রাজপথ দখল করা অত সহজ নয়। রাজপথ দখল করেছি আমরা। ১৯৯৫ সালে বিএনপি যে নির্বাচন করেছিল, ক্ষমতায় ছিল মাত্র ১৫ দিন। আমরা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমরা আন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। এটাকে বলে আন্দোলন। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দল। যাঁর ভিত্তি তৃণমূল পর্যন্ত।

আজ রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে নিজ নির্বাচনী এলাকা ভোলায় আসেন। এই প্রথম তিনি পদ্মা সেতু পারি দিয়ে ঢাকা থেকে সড়ক পথে ভোলায় এসেছেন।

এদিকে প্রিয় নেতাকে অভ্যার্থনা জানানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে ভীড় জমাতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তোফায়েল আহমেদ ভেদুরিয়া ঘাটে নামার সাথে সাথে কয়েক হাজার উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মী মুহূর্মুহু শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে তোফায়েল আহমেদ ভেদুরিয়া থেকে ভোলা জেলা শহরে আসার পথে পথে রাস্তার দুই পাশে ভোলার অভিভাবক প্রিয় এই নেতাকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুই পাশে ভীড় করেন।

এছাড়া হাওলাদার বাজার, পরাণগঞ্জ বাজারসহ পথে পথে বেশ কয়েকটি স্থানে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তোফায়েল আহমেদ।

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাংলাবাজার স্বাধীনতা যাদুঘর চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: