বঙ্গবন্ধুর খুনি, দোসররা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে: পাটমন্ত্রী

মোশতাক আহমেদ শাওন | ৩ আগষ্ট ২০২২, ০৬:০৫

সংগৃহীত

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জাতি কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের দোসররা এখনও দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯ টি স্থানে আলাদাভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে তার সোনার বাংলার স্বপ্নকেও খুন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেত। তিনি জীবিত থাকলে বাংলাদেশ তার আরাধ্য সোনার বাংলা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত।

মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন।

পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা আসবেন, যাবেন, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোনদিন আসবে না। তাঁর হৃদয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর অন্য কিছু ছিল না। তিনি শুধু এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন।

দুটি স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এক, দেশের স্বাধীনতা, অন্যটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাকি কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গালী জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। এখনও দেশে একের পর এক মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: