শেখ হাসিনার কারামুক্তি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস: তথ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ১২ জুন ২০২২, ০৯:৪২

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ-ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বীরের বেশে কারামুক্ত হন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি পায় এবং সে কারণেই এই দিনটি শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস নয়, এটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।

শনিবার (১১ জুন) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতারের পর বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তির জন্য সারাদেশে আন্দোলন এবং অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার ফলে আন্তর্জাতিক চাপ -এ দু’য়ের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রায় দেড় মাস পর বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এর অব্যবহিত আগে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামাত। তারা দেশকে লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়ে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদেরকেই গ্রেফতার করার কথা। কিন্তু গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকেই আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর আমাদের অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা নিশ্চুপ ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন কিন্তু সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল, শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এবং সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অনুসারীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন। শেখ হাসিনার মুক্তির ঐক্যবদ্ধ এ প্রচেষ্টার ফলে বেগম জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন; কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন ছিল না।

বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু বিদেশে নেওয়ার ধুয়া না তুলে তার সুস্থতার দিকেই বিএনপি নেতারা মনোযোগ দেবেন বলে আশা করি। কারণ এর আগেও তারা যখন বেগম জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন বলেই চলেছিলেন তার মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আমাদের চিকিৎসকরা মেধাবী এবং গত সাড়ে ১৩ বছরে দেশে চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, বিত্তশালীরাও এখন দেশে চিকিৎসা নেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: