দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করতেই বিএনপি খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকারের তৎপরতায় করোনা পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই সমালোচনা করছে। টেলিভিশনের সামনে যাচ্ছেতাই বলছে। তাদের কোন দায়িত্ব নেই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে আতঙ্কিত করা। এজন্য তারা এমন পথ অবলম্বন করেছে যে, বেগম জিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মানুষ যেন আতঙ্কিত হয়ে যায়।
করোনার এ সময়ে বিএনপি নানা রকম অপপ্রচার ছড়াচ্ছে দাবি করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন- লকডাউনের নামে এটা ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে নাকি। আমিতো বলি, লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন না; বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার মধ্য দিয়ে। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, যতই স্যালাইন দেন, ওষুধ দেন, ক্ষমতায় থাকতে যত অন্যায়-অবিচার করেছেন, এই বিএনপিকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। খালিদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কাছে কোনদিন ভরসা পায়না। দিনশেষে বিএনপিসহ সারাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ভরসা তৈরি হয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বৈশ্বিক মহামারী করেনা ভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী রেখেছেন। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব আমরা দ্বিতীয়টি পাইনি। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধানদের দেখেছি আত্মসমর্পণ করতে, চোখের পানি ফেলতে, সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতেও দেখেছি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে বিশাল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের যথাযথ পরিকল্পনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এখন দেশে করোনা আক্রান্তের হার কমে আসছে। মৃত্যুর হার প্রতিদিন ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল এতোদিন। সেটা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, আগামী দু’একদিনে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো সরকারপ্রধান পেয়েছি। এত অভিজ্ঞ সরকারপ্রধান এই মুহূর্তে পৃথিবীতে বিরল। ৪০ বছর যাবত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জন্মলগ্ন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার থেকে বেশি সময় দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা কোন নারী নেতৃত্বের নাই। তিনি ইন্দিরা গান্ধী ও মার্গারেট থ্যাচারকে ছাড়িয়ে গেছেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, চলতি বছরে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ ১০ দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অন্যভাবে দেখেছি আমরা। শেখ হাসিনা কোন পর্যায়ে গেছেন। তাবত দুনিয়ার সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এক হয়ে গেলেন। এ ১০ দিন সমগ্র পৃথিবীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এটা হয়েছে শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিরল পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে নৌ প্রতিমন্ত্রী বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: