রাজারহাট উপজেলার ২নং ছিনাই ইউনিয়নে আগামী নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার জাতাকলে নাজেহাল জাতির চারিদিকে অন্ধকার। তবুও নির্বাচনী আমেজ থেমে নেই। এবারে ছিনাই ইউনিয়নে ৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান বুলু ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু সহ ৫জন নতুন প্রার্থী এবারের ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান বুলু সরকার গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুজ্জামান নুরুকে ৪৩৮ ভোটে পরাজিত করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবারো দুজনের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছেন ছিনাই ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা। নতুন প্রার্থীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় আছেন তরুণ প্রার্থী রুকুনুজ্জামান রোকন। তিনি ইতিমধ্যে বিলবোর্ড পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতির বার্তা জনসাধারনের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিশেষ করে তরুন সমাজে বেশ সাড়া ফেলেছেন রুকুনুজ্জামান রোকন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও সাধারণ ভোটার ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মনোযোগ আকর্ষন করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রমজানে ইফতারের আয়োজন করে নেতাকর্মীদের দলীয় সমর্থন আদায় ও তার পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।
তবে গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করা নুরুজ্জামান নুরু এবারও নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা দৃঢ়তার সাথে বলেছেন। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রুহুল আমিন বাদশা আগামী ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি হিসেবে পোস্টার ব্যানার বিলবোর্ড লাগিয়ে জন সাধারনের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানান। রফিকুল ইসলাম ছিনাই ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য'র দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইতিমধ্যে ৬ হাজার পোস্টার ইউনিয়নে বিলি করে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। অপর প্রার্থী আকবর আলীও অন্যান্য নতুন প্রার্থীদের ন্যায় বিলবোর্ড পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে সমানভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শহিদুল ইসলাম ও নিজামউদ্দিন আগামী ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলেন জানিয়েছেন একাধিক সুত্র।
তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চললেও করোনাকালীন সংকটে এখন পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়নি কোন প্রার্থীকে। আগামী নির্বাচন নিয়ে বদ্যের বাজারের চা বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বলেন পরিবর্তন দরকার। পরিবর্তন চলমান থাকলে জনগনের কদর বাড়ে। ছিনাই ইউনিয়নের ছত্রজিৎ গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন মার্কা যিনি পাবেন তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। চওড়া বাজারের রাইচ মিল মালিক সাইদুল ইসলাম বলেন পুরাতন বাদ দিয়ে নতুন তরুন চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়নের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। নির্বাচনের ব্যপারে কথা বলার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান বুলু সরকারকে এ সাংবাদিক ফোন করলে তিনি ব্যস্ত থাকায় সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে পারেন নি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: