তোফায়েলনামা-১: টাকা খেয়ে বিএনপির প্রার্থীর পছন্দের লোককে নৌকার মনোনয়ন

সময় ট্রিবিউন | ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:২৭

রেবেকা মমিনের কথিত এপিএস তোফায়েল

নেত্রকোনা - ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন - এর কথিত এপিএস তোফায়েল আহমেদের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিব্রত জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ তৃণমূলের হাজারো নেতা কর্মী। তোফায়েল ক্ষমতার অপব্যবহার ও কূট কৌশল অবলম্বন করে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নে যে ধরণের নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছেন তার জন্য বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও যোগ্যতম প্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, দুইটি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সেই বিএনপির প্রার্থীর পছন্দসই আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন ও দুর্বল ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দুইজন নেতার সমন্বয়ে গঠিত এ অদৃশ্য সিন্ডিকেট ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা আলাদা কল রেকর্ড সময় ট্রিবিউনের হাতে এসেছে যা থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় তোফায়েলের সম্পৃক্ততা ও অর্থ সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

রেবেকা মনিনের কথিত এই এপিএস তোফায়েলের এমন কর্মকান্ডে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে তৃণমূল আওয়ামী লীগে। টানা ৪০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা একজন প্রার্থী জানান, তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। একটি স্বনামধন্য কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী ছিলেন বলে জানা যায়। সে ইউনিয়নে এমন প্রবীণ একজন নেতার নাম বাদ দিয়ে ভূয়া রেজ্যুলেশন বানিয়ে ও তথ্য গোপন করে এমন একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যার মোট বয়সই বঞ্চিত প্রার্থীর রাজনীতির বয়সের সমান নয়। আর এসব করা হয়েছে শুধু মাত্র বিএনপির প্রার্থীর বিজয়কে সহজ করার স্বার্থে।

দলের প্রতি এমন ত্যাগ ও সততার রাজনীতি করার পরও তোফায়েলের অপরাজনীতির কাছে পরাজিত হয়ে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া এই প্রবীণ নেতা। তিনি আরও জানান, মনোনয় বাণিজ্য সবসময়ই যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের অন্তরায়। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে মদন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সবসময় দ্বিধা, বিভাজন ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। আওয়ামী রাজনীতির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি সাধন হচ্ছে এসব কারনে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: