নৌকা পাশ করার দরকার কি? - রেবেকা মোমিনের কথিত এপিএস তোফায়েল

সময় ট্রিবিউন | ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২২

রেবেকা মমিনের কথিত এপিএস তোফায়েল

"নৌকা পাশ করার দরকার টা কি? বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় নৌকা ফেল করবে এটাই স্বাভাবিক। আমার রাজনীতি থাকলেই হলো।" উক্তিটি করেছেন নেত্রকোনা ৪ আসনের সাংসদ রেবেকা মমিনের কথিত এপিএস তোফায়েল আহমেদ। সম্প্রতি তার বিপক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে। তার বিপক্ষে অন্যায়ভাবে এমপি রেবেকা মোমিনের ক্ষমতা অপব্যবহার ও রেবেকা মমিনকে মিথ্যা তথ্য ও ভুল বুঝিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া এবং বিএনপি জামাতের প্রার্থীদের সাথে আঁতাত করে দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে কাজ করার প্রমাণ এসেছে সময় ট্রিবিউনের হাতে।

মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই জন নেতা ও তোফায়েলের সমন্বয়ে গঠিত তিনজনের এ সিন্ডিকেট প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তোফায়েলের নগ্ন হস্তক্ষেপ ও কূটকৌশলের কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে উপজেলার একাধিক যোগ্য ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা। শুধু তাই নয়, কয়েকটি ইউনিয়নে তৃণমূল আওয়ামীলীগের রেজ্যুলেশন মানা হয়নি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিকে বাদ রেখে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে রেজ্যলুশেন পাশ করে মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার প্রমাণও এসেছে কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের অগ্রাধীকার দিয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগ রেজ্যুলেশন প্রকাশ করলেও তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে এমন প্রশ্ন তুলে আওয়ামীলীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী সময় ট্রিবিউনকে জানান, "নেত্রকোনা-৪ আসনের সাংসদ রেবেকা মমিন একজন সজ্জন এবং অতি সাধারণ জীবনযাপনকারী মানুষ। বয়স্ক মানুষ বিধায় তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় খুব কম আসেন। আর এই সুযোগে তাঁর কথিত এপিএস তোফায়েল আহমেদ বিভিন্নভাবে সাংসদকে প্রভাবিত করে তিনটি উপজেলাতেই অপরাজনীতি করে চলছেন।"

এছাড়াও দুইটি ইউনিয়নে বিএনিপির প্রার্থীকে পাশ করানোর জন্য তাদের সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আঁতাত করেছেন এই তোফায়েল। আওয়ামীলীগের কাকে মনোনয়ন পাইয়ে দিলে বিএনপির প্রার্থীর জয়লাভ সহজ হবে সেজন্যও অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের তুলনামূলক অগ্রহণযোগ্য ও কম জনপ্রিয় প্রার্থীর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন তোফায়েল, মনোনয়নও পাইয়ে দিয়েছেন। এসব নিয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এসব বেপারে কথা বলার জন্য কথা বলার জন্য রেবেকা মমিনের কথিত এপিএস তোফায়েলের মোবাইলে ফোনে কল করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং সময় ট্রিবিউনের প্রতিনিধির সাথে খারাপ আচরণ করেন।

                                                                                     'তোফায়েল নামা' (১ থেকে ৩) চলবে............



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: