ঈদে জনদুর্ভোগ কমাতে ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কার

রানা আহম্মেদ অভি, ঝিনাইদহ | ২৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:২৫

ছবিঃ সংগৃহীত

ঝিনাইদহের শেখপাড়ায় হতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) থানা গেট পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। অনুমান করা হয় প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) হতে রাস্তাটির আধা কিলোমিটার সংস্কার কাজ আরাম্ভ করে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।

অনেকদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি একটি জনদুর্ভোগময় সড়ক হয়ে উঠেছিলো। নিয়মিত বাস-ট্রাকের যান্ত্রিক সমস্যা, বাজারের দিনে জ্যামসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হতো রাস্তাটি ঘিরে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার জন্য এই সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর বঙ্গ হতে দক্ষিন বঙ্গে প্রবেশের একমাত্র পথ। সংস্কারের অভাবে সড়কটি পরিণত হয়েছিলো মরণফাঁদে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও বেশ সময় নিয়ে কর্তৃপক্ষ ছিলো চুপ। বার বার আশ্বাস দিলেও কোন কাজে তাদের দেখা মেলেনি ইতিপূর্বে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে বার হাজার যানবাহন কুষ্টিয়া হতে খুলনা চলাচল করে। যার মধ্যে অন্যতম ঝিনাইদহ শহর, যশোর বেনাপোল, নওয়াপাড়া ও খুলনার শিল্পাঞ্চলসহ অনেক রুটে প্রায় আট হাজার মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। সারাদিন ও রাত এই রাস্তাটিতে দূরপাল্লার পরিবহন, ট্রাক ও সিএনজি চলাচল করে। এসব যানবাহনসহ ছোট্ট ছোট্ট অটোরিকশা, ভ্যান, লেগুনা ও কৃষকদের মাঠের গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করে। ফলে শেখপাড়া বাজার হতে ইবি গেট অব্দি প্রায় শতাধিকের বেশি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় ফুট পর্যন্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘসময় পর সড়কটি সংস্কার হওয়ায় শেখপাড়া এলাকাবাসীসহ বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। শেখপাড়া এলাকাবাসী রানা আহম্মেদ অভি জানান, দূনীর্তি মুক্তভাবে দ্রুতো সময়ের মধ্যে রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরুর দাবি থাকবে সকলের পক্ষ থেকে। ঈদ সামনে এই কাজটি সবার জন্য কিছুটা হলেও দূর্ভোগ কমাতে সাহায্য করবে। এই বিষয়ে ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘টেন্ডারের কাজ এখন বন্ধ আছে। বিল পাশ হতে পারে সামনের অর্থবছরে। তার জন্য অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে’। তিনি আরও বলেন, ‘একবছর ভালোভাবে সাপোর্ট দেওয়ার মতো সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ঈদের সামনে কিছুটা জনদুর্ভোগ কমাতে বিভাগীয়ভাবে কাজটি করা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: