ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করার শক্তি কারো নেই

সময় ট্রিবিউন | ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৯

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটা ভাষায় ব্যাখ্যা করার মতো না। বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক রক্তের বন্ধন বাংলাদেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল। পৃথিবীর যত দেশ আছে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এক ধরনের, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ এ সম্পর্ক রক্ত দিয়ে লেখা। এই বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্ব কোনোভাবেই মিশিয়ে ফেলা যাবে না। পঁচাত্তরের পর কত চেষ্টা হয়েছে, এটা কিন্তু পারেনি।  

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার অডিটোরিয়ামে ভারতে শিক্ষালাভকারী বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সমিতি (অ্যাবসি) আয়োজিত ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের রক্ত বাংলাদেশে আছে, আমাদের রক্ত ভারতে আছে। একাত্তরে আমাদের দেড় কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধরাও ছিলেন। গবেষকরা বলছেন, সেসময় ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছেন। এক মুক্তিযুদ্ধ পেরিয়ে আমাদের যে মিত্রতা, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব তৈরি হয়েছিল, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সেটাকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরির জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করা হয়েছিল। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা ধর্মকে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু সত্য কখনো আড়াল করা যায় না। আজকের বাংলাদেশ সেটাই প্রমাণ করে।

বিগত ১২ বছরে নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মোংলা বন্দরের সব সুবিধা ভারতের জনগণ নিতে পারবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। এ জন্য তাকে অনেক রাজনৈতিক সমালোচনা সইতে হয়েছে। বন্ধুত্বকে ধারণ করেন বলেই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তিনি এই বিষয়গুলোর সমাধান করেছেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত বড় সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে ভারত। পদ্মা সেতুতেও ভারত ভূমিকা রাখছে। সর্বক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আমাদের অসাধারণ সম্পর্ক। করোনা মহামারির মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ আঞ্চলিক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে আসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।  



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: