বাস ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া দেওয়া তাদের অধিকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি শিক্ষার্থী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করার সুযোগ করে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর বাস-মিনিবাসের ৭০ শতাংশ আসনের গড় যাত্রী ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এতে বাকি ৩০ শতাংশ আসনের ভাড়া ওই ৭০ শতাংশ যাত্রীরাই পরিশোধ করেন। তাই ৩০ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে চলাচলকারী দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছ থেকেও অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার দাবি সংগঠনটির।
সমিতি জানায়, যাত্রী প্রতিনিধি না রেখে ভাড়া নির্ধারণ করায় বিআরটিএ কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়েছে বাস মালিকরা। তারা নানা খাতে অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়েছে। এই ভাড়া পরিশোধ করে বাসে যাতায়াত করা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যাত্রীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা শহরে সিটিং ও গেইটলক সার্ভিসের নামে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুণে গুণে ৫ কিলোমিটার যাতায়াতের ক্ষেত্রে ২৫ কিলোমিটারের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে এবং অল্প দূরত্বের যাত্রীদের থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ৩-৪ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: