বিএনপি দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৫

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাগল, না দেশের মানুষ পাগল? উনার বক্তব্যে মনে হয়, রাস্তায় যে পাগল ঘুরে বেড়ায় সে মনে করে সবাই পাগল, শুধু সে ভালো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যটাও সেই রকম।’

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, এটি আবার ভিডিও করেছে। ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট।

‘দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা যে স্থিতিশীল আছে; করোনা মহামারির মধ্যেও যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে; বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি তারা পৌঁছাতে পারেনি। সুতরাং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে এবং যারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে, এই বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসররা মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। গতকাল (১৬ অক্টোবর) সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে ছিল। টিকাও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। অথচ করোনা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, টিকা নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।’

‘দেশের অগ্রগতির জন্য সরকার সবসময় চায় শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক’— উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেকোনো সরকার, এটা বিএনপিও হোক, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক; তারা চায় কিনা জানি না! পৃথিবীর সব দেশের সরকারই এটা চায়। বিএনপি আসলে কী চায়, তা অবশ্য জানি না। তারা ক্ষমতায় থাকতে তো অনেক কিছুই করেছে।’

‘সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে’ — এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। যারা কথায় কথায় এ দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে। 

বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে কুমিল্লার ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা নিশ্চয়ই বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরিফ রেখেছিল। বের হওয়ার পর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে— বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: