সিআইডির নজরদারীতে ৩০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান

সময় ট্রিবিউন | ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৪৬

ছবি: ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে তালিকা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে ৩০টিকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। এছাড়া আলোচিত রিং আইডির মালিক কানাডা প্রবাসী শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলামকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সিআইডির পক্ষ থেকে।

সোমবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সিআইডি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা রোধে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এতে দেখা যায়, কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা নিয়েও পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইমাম হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ও নিজেরা অনুসন্ধান করে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে রয়েছে।’

এ পর্যন্ত এইসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।’

রোববার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকা থেকে রিং আইডির অন্যতম এজেন্ট রেদোয়ান রহমানকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে সে সিআইডিকে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে রিং আইডির ইউজার হিসাবে সে (রেদোয়ান) কাজ শুরু করে। ৭-৮ মাস আগে সে রিং আইডির এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ পায়। তখন থেকে ৬ শতাধিক আইডি বিক্রি করে ১ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেদোয়ান আরও জানায়, প্রতিটি সিলভার আইডি ১২ হাজার টাকা, গোল্ড আইডি ২২ হাজার টাকা, প্রবাসী গোল্ড আইডি ২৫ হাজার টাকা, প্রবাসী প্লাটিনাম আইডি বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে সে। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো তারাও অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল সে।

সিআইডির সাইবার টিমের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, রিং আইডির প্রায় ২শ কোটি টাকা সিআইডির অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে। তবে রিং আইডির হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ আরও অনেক বেশি। সেই টাকা কোথায় জমা আছে তা এখনো জানা যায়নি। তিনি বলেন, ‘রিং আইডির মালিক শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম কানাডায় অবস্থান করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’

জানা যায়, এর আগে ২০১৬ সালে বিটিআরসির অভিযোগের ভিত্তিতে শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম গ্রেফতার হয়েছিল। মাসখানেক জেলে থাকার পর তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, রিং আইডি কয়েক ধাপে জালিয়াতি করছিল। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করত রিং আইডি। ওই বিজ্ঞাপন দেখলে গ্রাহকরা টাকা পাবেন এই প্রলোভন দেখিয়েছিলেন তারা। প্রথম দিকে টাকা দিলেও পরে আর গ্রাহকদের টাকা দেওয়া হয়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: