১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেয়া যায় কি না তার টেকনিক্যাল বিষয় দেখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে বৈঠকের ইন্ট্রোডাকশনেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমরাতো ১৮ বছর পর্যন্ত দিচ্ছি, ১৮ এর নিচের বাচ্চাদের দেয়া যায় কি না তা এক্সপ্লোর করার জন্য, টেকনিক্যাল বিষয় দেখতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়। এরপর তা আরও কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়। এরপর বয়সের সীমা আরও কমানো হয়।
বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে পারছেন। গত ১৯ আগস্ট রাত থেকে সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টিকা নিবন্ধনের অপশন চালু করা হয়।
এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: