স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি, মশা নিধনের জন্য জরিমানা করছি। এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব দেশে প্রচুর আক্রান্ত হয়েছে। তাদের থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে এবার ডেঙ্গুতে অনেক শিশু মারা গেছে। অনেকে স্বজন হারিয়েছেন। আমরা আর একজনকেও হারাতে চাই না। এবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এটা পরের সময়গুলোতে কাজে লাগিয়ে পদক্ষেপ নেবো।’
তিনি বলেন, ‘এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তার ওপর দীর্ঘসময় ধরে চলা বিধিনিষেধ ও ঈদের ছুটিতে মানুষ গ্রামের বাড়ি চলে যায়। যে কারণে পরিত্যক্ত স্থানে পানি জমে মশার জন্ম হয়েছে। অন্যদিকে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় সেখানেও মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।‘
২০১৯ সাল থেকে মশা নিধনের জন্য একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয় জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওই বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২০ সালে কাজ করি। এজন্য সে বছর আক্রান্ত হয় মাত্র ১৪০৫ জন। কিন্তু ২০২১ সালে দেখলাম অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি দেশের বাইরে ছিলেন, তবে এখন চলে এসেছেন। আমাকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেনও। তিনি যথেষ্ট কাজ করছেন।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: