গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে : জাফরুল্লাহ

সময় ট্রিবিউন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৫২

ছবি : সময় ট্রিবিউন

গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সবাইকে রাস্তায় নামার আহবান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার(১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নব গঠিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন,"আমার সাম্প্রতিক বক্তব্যে আমার কিছু রাজনৈতিক স্নেহাস্পদ ব্যক্তিরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। তাদেরকে চাকরবাকরের সাথে তুলনা করেছি। আমি চাকরবাকরের কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ এসব রাজনৈতিক কর্মীদের চাকরবাকরের গুণাবলীও নেই। তাদের না কব্জিতে জোর আছে,না মাথা ঘুরাবার অধিকার আছে। চাকরবাকরদের অত্যাচার করার একপর্যায়ে তারা চাকরি ছেড়ে চলে যায়। এই রাজনৈতিক কর্মীদের তাও নেই। চাকরবাকর ভাইরা আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি,আপনাদের অধিকার আমি ক্ষুন্ন করেছি। আবার এই বর্তমান সরকার চক্রান্ত শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,"আমাদের হাইকোর্টে এখনো কয়েকজন ভালো লোক আছেন। তার মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম একজন। একজন মহা দুর্নীতিবাজকে ঢেকে এনে, চা খাওয়াইয়ে তাকে জামিন দিয়ে দেয়। তাই তাকে ভৎসনা করে সাধুবাদ জানাই। ইনায়েতুর রহিম কার ভয়ে আপনি এতো নরম সুরে কথা বলছেন? আপনার বাবা তো সাহসী লোক ছিলো। বিচারপতিগণ কোন বইতে কার বক্তৃতা পড়াবেন সেটার সিদ্ধান্ত দেয়া কি আপনার কাজ? তাহলে এনসিটিবি কীজন্য রেখেছেন? তার কারণ হলো আপনাদের চোখে ছানি পড়েছে। সেকল বিষয়ে কথা বলার জন্য আপনারা টাকা পান,সেবসব বিষয়ে কথা বলেন না। কথা বলেন কার বক্তৃতা ছাপাবেন,কাকে তেল দেবেন,কাকে মালিশ করবেন।বিচারপতিদের সময় ফুরিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন জাফরুল্লাহ।

এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য জাফরুল্লাহ বলেন,"আমি তারেক রহমানের বদলে তাঁর স্ত্রী জাইমাকে ক্ষমতা দিতে বলিনি। আমি বলছি তাকে রাজনীতি শিখতে দেন। সে তরুণ আছে, তাকে রাজপথে আসতে বলেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হলে রাজপথে হাঁটতে হবে।

আসিফ নজরুল সম্পর্কে তিনি আরো বলেন," পৃথিবীর জ্ঞানী-গুনীদের নাম খুঁজে বেড়ালে আসিফ নজরুলের নাম পাওয়া যাবে। আসিফ নজরুলের কক্ষে তালা লাগানো যাবে কিন্তু মুখে তালা লাগানো যাবে না। আসিফ নজরুলের জ্ঞানের আঁধারে তালা লাগানো যাবে না। পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় আসিফ নজরুলকে অধ্যাপক হিসেবে পেলে গর্বিত হবে। আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাক্কারজনক ঘটনা তার কক্ষে তালা লাগানো হয়েছে। এটিই দেখে বোঝা যায়, আমাদের দেশের অবস্থা কতটা খারাপ আছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু)'র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা৷



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: