আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আফগানিস্তানে যারা আটকে পড়েছেন, তাদের আমরা আনার চেষ্টা করছি। আমরা কীভাবে কী করব, তা বলতে চাই না। কারণ সেখানে বিগ ফ্লুইট সিচুয়েশন। এগুলো নিয়ে বলতে গেলে তখন তাদের আটকে দেবে। আমরা আমাদের সেরাটা করব। আফগানিস্তানে আমাদের মিশন নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশিদের ফেরানোর কৌশল গোপন রাখা হবে।
কাবুল বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি নাগরিকসহ চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী ফ্লাইটের জন্য আটকে রয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য রয়েছে কি না-জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। সুযোগ-সুবিধা বুঝে আমরা নিয়ে আসব। আমাদের অল সাপোর্ট আছে। যার যেভাবে ফিরে আসা উচিত, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফগানিস্তানে থাকা ব্র্যাকের কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা সরকারের পক্ষ থেকে ছয় সপ্তাহ আগে বলা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে তাদের আমরা বলেছি, আপনাদের যেসব কর্মী নন এসেনশিয়াল, তাদের নিয়ে আসেন। কারণ আমাদের ভয়, ওখানে কোনো একটা ঝামেলা হবে, তবুও অনেকে থেকে গেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী, আফগান ওয়্যারলেসে কর্মরত সাত প্রকৌশলী, ব্র্যাকের তিনজনসহ ১৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আফগানিস্তানে এ পর্যন্ত ২৯ বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে দেশটির কূটনৈতিক মিশনের দায়িত্বে থাকা উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস। তাদের মধ্যে দুজনকে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানে করে কাবুল থেকে কাতারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: