প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর শাহ্ মখদুম বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে বাসায় ছিলেন। করোনার কারণে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসান আজিজুল হকের ছেলে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান ফেসবুক স্ট্যাটাসে অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন।
ইমতিয়াজ হাসান জানান, ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলামের অধীনে হাসান আজিজুল হকের চিকিৎসা চলবে।
তিনি বলেন, বাবার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। রাজশাহীতে এখনো কোভিড পরিস্থিতি ভালো হয়নি। আর বাসায় রেখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। তাই বাবাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, বাবার এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকতে পারে। ঢাকায় পরীক্ষা করালে বিষয়টি বোঝা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও আগে থেকেই বাবার হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস আছে। বাবার শরীরে লবণের ঘাটতি আছে। করোনার কারণে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শমতো বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, লবণের ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাসাতেই তাঁর ইসিজি করানো হয়েছে। তিনি একবার পড়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এক্স-রে করানো হয়েছে। সেখানে হালকা ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপায় এলাকার আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: