আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট), বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
মতিউর রহমান করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে ভারতীয় সীমান্তের ৩৫ মাইল দূরে থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন।
মতিউর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার আগাসাদেক রোডের পৈতৃক বাড়িতে। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই একটি মিগ-১৯ বিমান চালনার সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে অপূর্ব দক্ষতায় প্যারাস্যুটযোগে মাটিতে অবতরণ করেন। ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে যে বিমান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তিনিই একমাত্র বাঙালি পাইলট ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতা ও অতুলনীয় অবদানের রাখায় মতিউর রহমানকে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ জাতীয় খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
মতিউরের মরদেহ করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণির কবরস্থানে সমাহিত করেছিল পাকিস্তান সরকার। পরে ২০০৬ সালের ২৪ জুন পাকিস্তান থেকে মতিউরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ২৫ জুন দেশের এই মহান সন্তানকে পূর্ণ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: