শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড  

সময় ট্রিবিউন | ২৩ মার্চ ২০২১, ২২:৪৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকর করার কথাও জানান আদালত।

আদালত বলেন, হুজি ও জেএমবির মতো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তাই তারা ক্ষমা পেতে পারে না।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।  

রায় ঘোষণার আগে আজ কারাগারে থাকা নয়জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত ও তার আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে দুটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়। আজ অপর মামলাটির রায় হলো।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।

২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩৪ জন। অন্য মামলায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: